মোস্তাকিম ফারুকীঃ কেরানীগঞ্জ থেকে মিটফোর্ড হাসপাতাল এবং ঢাকা থেকে দেশের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলগামী মানুষেরা যাতায়াতের অন্যতম  প্রধান রাস্তা বাবুবাজার ব্রিজ।এই ব্রিজের উপর দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষের ।দিনে দিনে ব্রিজটি যাত্রীদের ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে।
ব্রিজের দুপাশের রাস্তা চলাচলের অনুপযোগী বললেই চলে। প্রতিদিনই এখানে সকাল থেকে রাত অবধি লেগে থাকে ঘণ্টার পর ঘন্টা যানজট। শুধু ব্রিজটিতে চলাচলকারীরাই নন, ভোগান্তিতে পড়ছেন আশপাশের ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান এবং এলাকার বাসিন্দারাও।
dkk
ব্রিজটি রাজধানীর নয়াবাজার থেকে শুরু হয়ে শেষ হয়েছে বুড়িগঙ্গার ওপার কদমতলিতে। ব্রিজের এপার রাস্তার দু’পাশ দখল করে নিয়মিত পার্কিং করে রাখা হচ্ছে শত শত ভ্যানগাড়ি, ঠেলা গাড়ি, কাভার ভ্যান ও ট্রাক।
যানজটে আটকে থাকা এক বাসের ড্রাইভারের সাথে আলাপকালে তিনি জানানা, মাঝে মাঝে মন চাই গাড়ি চালানো ই বন্ধ করে দেই। সারাদিন গাড়ি চালানোর অর্ধেক সময় এখানেই নষ্ট হয়ে যায়।
বাবুবাজার এলাকা থেকে বাহাদুর শাহ পরিবহনে করে যাত্রাবাড়ী যাচ্ছিলেন কাউসার মিয়া। তিনি বলেন, বাবুবাজার ব্রিজের নিচ থেকে এই পরিবহনে উঠেছি। কিন্তু তাঁতীবাজার মোড়ে আসতেই সময় লেগেছে প্রায় ১ঘন্টা। কিন্তু হেটে আসলে সময় লাগত মাত্র তিন/চার মিনিট। ভারী মালামাল থাকার কারণে হেটে যেতে পারছি না।
বাবু বাজার রাস্তার পাশে গ্লাস ব্যাবসায়ী বিজয় আহমেদ বলেন, আমাদের প্রয়োজনীয় মালামাল সময় মত আনতে পারি না। দরকারী গাড়ি, যেগুলো দিয়ে আমাদের জিনিসপত্র কেনাবেচা করি, সেই গাড়িগুলো যাতায়াত কতটা ভোগান্তির তা বলে শেষ করা যাবে না।
কেরানীগঞ্জ থেকে আগত, মিটফোর্ড হাসপাতালে ভর্তিকৃত এক রোগীর আত্মীয় জালাল মিয়া বলেন, ব্রিজের উপর থেকে দেখা যাচ্ছিল হাসপাতাল অথছ যেতে পারছি না। অনেকদূর ঘুরে তাঁতিবাজার হয়ে আসতে হয়েছে। হেটে আসলে ছয় সাত মিনিট লাগত, কিন্তু এম্বুল্যান্স দিয়ে আসতেও লেগে গেছে ৩৫ মিনিট।
 সব মিলিয়ে এলাকার বাসিন্দাদের পড়তে হচ্ছে সীমাহীন ভোগান্তিতে।
 বাবুবাজার ব্রিজ ও এর আশপাশের এলাকায় সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ব্রিজের দুপাশে অবৈধভাবে স্থাপিত হয়েছে রাস্তা দখল করে পার্কিং।
উক্ত পার্কিং এর ব্যাপারে সেই এলাকার জনপ্রতিনিধি, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের অন্তর্ভুক্ত ৩২নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মান্নানের সাথে আলাপ করলে তিনি জানান, এব্যাপারে আমাদের কোন এখতিয়ার নাই। ব্রিজের নিচে পার্কিং এর জন্য সিটি কর্পোরেশনের অনুমতি আছে এবং পার্কিং এর জন্য নির্দিষ্ট টাকাও পরিশোধ করা হয়। কিন্তু রাস্তার পাশে কে বা কারা নিয়মিত গাড়ি রাখে তা আমরা বলতে পারি না। যারা রাস্তার ট্রাফিক নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করে, তারাই ভালো বলতে পারবে।
বাবুবাজার ব্রীজের পাশে অবস্থানরত ট্রাফিক পুলিশের সাথে আলাপ করলে, তিনি বলেন আমরা কিছু বলতে পারব না। আমাদের মিডিয়া সেন্টারে আলাপ করুন। লক্ষ্য করা যায় দায়িত্বরত দুজন ট্রাফিক পুলিশ ই তাদের নেইম প্লেট খুলে রাখেন।